বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৪ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

বিএনপি নেতা আমির খসরুসহ ৫ জনের নামে দুদকের মামলা

জাতীয়

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

সর্বশেষ

বিএনপি নেতা আমির খসরুসহ ৫ জনের নামে দুদকের মামলা

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

প্লট জালিয়াতি ও নকশা বহির্ভূতভাবে হোটেল সারিনা নির্মাণের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি ডেভেলপ করার নামে ২২ তলা ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর আত্মসাত করেছেন। রাজউকের নকশা বহির্ভূতভাবে ওই ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়া ২৫ নম্বর প্লটেও নকশা বহির্ভূতভাবে ২১ তলা ভবন বিশিষ্ট হোটেল সারিনা নির্মাণ করেছেন তারা।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম, শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনা ও তার স্বামী গোলাম সরোয়ার এবং রাজউকের নকশা অনুমোদন শাখার বিল্ডিং ইন্সপেক্টর আওরঙ্গজেব নান্নু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, তারা উভয়েই বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ ও ২৫ নম্বর প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার। জব্দকরা এবং সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম যৌথভাবে তার ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ার এবং শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনার সঙ্গে হোটেল সারিনা ইন লি. নামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করে গেছেন।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, আসামি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে রাজউক থেকে ঢাকাস্থ বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটির নিলাম ক্রয় করা হয়। ১৯৯৯ সালে নিয়মবহির্ভূতভাবে একটি বেজমেন্ট ও ৪টি ফ্লোর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়ার শর্তে ডেভেলপার ও আপন ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যখন গোলাম সরোয়ারের মালিকানাধীন সারিনা ইন নামে ডেভেলপারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন প্রতিষ্ঠানটি অনিবন্ধিত ছিল।

এরপর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তাহেরা খসরু আলম, গোলাম সরোয়ার ও সাবেরা সরোয়ার নীনা পরস্পরের যোগসাজশে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত না মেনে পরিকল্পিত উপায়ে বাইশ তলা ভবন নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে চারটি ফ্লোর বাদে বাকিসব ফ্লোর নিজস্ব মালিকানায় নিয়ে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

এছাড়া আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা গোলাম সরোয়ার বনানী ১৭ নম্বর রোডের বসতি টাওয়ার নামে পরিচিত ২৫ নম্বর প্লটটি যৌথ নামে ক্রয় করে রাজউকের অনুমোদিত ১৫ তলা নকশার স্থলে ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিতভাবে নানা কৌশলে প্রথমে নিজের ভায়রাকে দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের (সিএসই) বর্ণিত ২৭ নম্বর প্লটের ডেভেলপার নিযুক্ত করেন।

পরে সেখানে নিজে স্ত্রীসহ যুক্ত হয়ে প্লটটি আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ধারা সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এনসি/

সর্বশেষ

জনপ্রিয়