শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

বরিশালের রানের পাহাড় টপকে সিলেটের দুর্দান্ত জয়

খেলাধুলা

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ৮ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

বরিশালের রানের পাহাড় টপকে সিলেটের দুর্দান্ত জয়

ছবি- ইন্টারনেট

থিসারা পেরেরার শট মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে যেতেই মুশফিকুর রহিমের উল্লাস শুরু। ছক্কায় সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ দ্বিতীয় জয়। ওই ছক্কাতে ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে সিলেট। ৩৯০ রানের ম‌্যাচে শেষ হাসিটা হেসেছে মাশরাফির দল। ১ ওভার আগে হাতে ৬ উইকেট রেখে সিলেটের এই জয় নিশ্চিতভাবেই বেশ উপভোগ করেছে ক্রিকেটপ্রেমিরা। বিপিএলের ইতিহাসে যা যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।

এর আগে খুলনা ২০৬, সিলেট ১৯৮ ও রংপুর ১৯৫ রান করে জিতেছিল। গতকাল প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় সিলেট ছিল আত্মবিশ্বাসী। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় ম্যাচে অনায়েস জয় পেল তারা। তবে আজকের জয়টা সহজ ছিল না। ১২০ বলে ১৯৫ রান তাড়া করে জয় পেতে যেমন শুরু দরকার তেমনটা তারা পায়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কলিন আকারম্যান নিজের ভুলে রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। শুরুর বিপদ কাটিয়ে সিলেট সেখান থেকে প্রতিরোধ পায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে।

শান্ত রয়েশয়ে খেললেও তৌহিদ রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে দলের রানকে শুধু এগিয়েই নেননি বরং সিলেটকে জয়ের দৌড়ে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১০১ রান করেছেন ৬৭ বলে। ম্যাচ জয়ের ভিত সেখানেই পেয়ে যায় সিলেট। শান্ত ৪০ বলে ৪৮ রানে থামলেও তৌহিদ তুলে নেন ফিফটি। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া এ ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। তাদের গড়া ভিতে চড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন পরবর্তী তিন ব্যাটসম্যান। চারে নামা জাকির হাসান উইকেটে নেমেই মুহূর্তেই ম্যাচের খোলনলচে পাল্টে দেন। ১৮ বলে ৪৩ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়।

২৩৮.৮৮ স্ট্রাইকরেটে সাজানো ইনিংসটি মূলত বরিশালকে ডুবিয়ে দেয়। জয়ের বাকি কাজ সারেন মুশফিকুর রহিম ও থিসারা পেরেরা। মুশফিক ১১ রান করেন ২৩ বলে। পেরেরা ৯ বলে করেন ২০ রান। বরিশালের ব্যাটিং ভালো হলেও বোলিং ছিল নির্বিষ। সাকিব ও মিরাজ রান দিয়েছেন যথাক্রমে ৩৫ ও৩১। ইবাদত ৩০, খালেদ ৩৫ রান দিয়ে ছিলেন ব্যয়বহুল। এর আগে ম্যাচের প্রথম ইনিংস ছিল সাকিবময়। ৩২ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। টস জিতে বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা। ৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা। মাশরাফি এ জুটি ভাঙেন এনামুলকে ২৯ রানে ফিরিয়ে। এরপর ৩৬ রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা।

সাকিব চারে নেমে শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। ডানহাতি অফস্পিনার আকারম্যানকে তিন বলের মাঝে মিড উইকেট দিয়ে দুই ছক্কা উড়িয়ে বড় কিছুর আভাস দেন। এরপর রাজা, পেরেরার উপর চড়াও হয়ে অতি দ্রুত রান তোলেন। ২৬ বলে ফিফটিতে পৌঁছে যান সহজেই। এরপর তরতরিয়ে রান তুলে দলের রানকে এগিয়ে নেন। মাশরাফি ইনিংসের শেষ ওভারে থামান বরিশালের অধিনায়ককে। ডানহাতি পেসারের অফস্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় সাকিব সাজান তার ইনিংসটি।

তবে ইনিংস বড় করতে ফিল্ডারের সহায়তাও পেয়েছেন। তার দেওয়া ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি আকবর আলী, তৌহিদ হৃদয়। শেষ দিকে দলের প্রয়োজন মিটিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও করিম জানাত। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে ১৯ ও করিম ১২ বলে ১৭ রান করেন। মাশরাফি বল হাতে ৩ উইকেট উইকেট নেন। রান দিয়েছেন ৪৮। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম, রেজাউর রহমান রাজা ও থিসারা পেরেরা।

এনসি/

সর্বশেষ

জনপ্রিয়