শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

modhura
Aporup Bangla

নির্বাচনী সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন

জাতীয়

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ৪ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

নির্বাচনী সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন

ছবি সংগ্রহ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচনীসামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ব্যালটবাক্স, স্ট্যাম্পপ্যাড, লাল গালা, অফিসিয়াল সিল, মাকিং সিল, ব্রাশ সিল, অমোচনীয় কালি, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, ক্যালকুলেটর, চার্জার লাইট কেনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেটের মুদ্রণের নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনীসামগ্রী ক্রয় পরিকল্পনা সংক্রান্ত’ সভায় ওই বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আলোচনা পর প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করে কমিশন বৈঠকে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব খোরশেদ আলম জানান, যেকোনো নির্বাচনের চূড়ান্ত কেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা পাওয়া যায় নির্বাচনের সময়সূচি জারির পর। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বেশ কয়েক মাস আগ থেকে নির্বাচনীসামগ্রীর কেনা প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। এ কারণে সম্ভাব্য কেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নির্বাচনী সামগ্রীর সংখ্যা নিরূপণ করা হয়ে থাকে।
বিগত সাধারণ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা ১০ শতাংশ অনুপাতিক হারে বাড়িয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ ও চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা নির্ধারণ করে নির্বাচনসামগ্রী কেনার পরিমাণ নির্ধারণ করা যেতে পারে।  

যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, সর্বশেষ হালনাগাদ করা ভোটার সংখ্যার তথ্যের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচনসামগ্রী ক্রয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করা যেতে পারে।  ২ মার্চ হালনাগাদের পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে মৃত ভোটার কর্তন ও নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির পর দেশে ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন এবং ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে  ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।  

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।  

এর আগে অনুষ্ঠিত হবে চারটি (সিলেট, খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল) সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর সংসদ নির্বাচন শেষ হলে ২০২৩ সালেই অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখেই ক্রয় পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে শিগগিরই বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হতে পারে।  

ক্রয়সংক্রান্ত ওই সভায় উপ-সচিব খোরশেদ আলম আরও জানান, বর্তমানে নির্বাচন ভবনের গোডাউনে মজুদ করা নির্বাচনীসামগ্রীর মাধ্যমে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনসহ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন সাধারণ/ উপনির্বাচন/পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে।

মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বর্তমানে সারাদেশে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪৫টি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স সংরক্ষিত আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সম্ভাব্য ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হবে ৩ লাখ ৬ হাজার ৬শ’টি (প্রতি আসনে গড়ে সম্ভাব্য ১৪৬টি ভোটকেন্দ্রে ও প্রতি কেন্দ্রে গড়ে সম্ভাব্য ছয়টি ভোটকক্ষের জন্য প্রয়োজন ৩ লাখ ৬ হাজার ৬শ’টি)।  ন্যূনতম ১৫-২০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন হলে সেক্ষেত্রে স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স ক্রয়ের প্রয়োজন হবে না মর্মে প্রতীয়মান হয়।

বর্তমানে মাঠপর্যায়ে মজুদ করা স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স ২০০৮-২০০৯ সালে বা এর পরবর্তীতে কেনা হয়েছে। ওই ব্যালটবাক্সগুলো গুণগত মান সঠিক আছে কিনা এবং ভোটকেন্দ্রে তা ব্যবহার করা সম্ভব হবে কিনা তার সঠিক তথ্য প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ব্যালট বাক্সের তথ্য পুনরায় মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করা প্রয়োজন হবে।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যবহারযোগ্য ব্যালটবাক্সের সংখ্যা এবং ব্যালটবাক্সের ঢাকনার তথ্য পুনরায় প্রত্যয়নপত্রসহ সংগ্রহ করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে স্বচ্ছ ব্যালটবক্সের চাহিদা নিরূপণ করতে হবে।

এছাড়াও সভায় আলোচনা করা হয়, নির্বাচনীসামগ্রী (স্ট্যাম্প প্যাড, লাল গালা, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, অমোচনীয় কালির কলম, স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সের সিল, গানি ব্যাগ, হেসিয়ান বড় ব্যাগ ও হেসিয়ান ছোট ব্যাগ) নির্বাচনের কমপক্ষে তিন মাস আগে ক্রয়/সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সর্বশেষ ক্রয় প্রক্রিয়ার থেকে ১০ শতাংশ দর বেশি ধরে নির্বাচনীসামগ্রীর মূল নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 

জা. ই

সর্বশেষ