ছবি- ইন্টারনেট
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ বিষয়টির সামধান বের করতে একটি গঠন করা হয়েছে। তারা দ্রুত একটি সমাধান বের করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সচিবালয়ে রবিবার ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির’ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাইরে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সেখানে কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা নজরদারিতে আনা হচ্ছে।’ ‘আমরা অনেক আগে থেকেই লক্ষ্য করছি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান বের করে আনতে আমরা একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর চারপাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী ও টহল রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজধানীর শাহীনবাগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল না।
সেখানে পুলিশ বাহিনী ছিল। তিনি যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে যাওয়াটা পুলিশ বাহিনীর কর্তব্য হয়ে গেছে।’ ‘এছাড়া ওসি পুলিশের পোশাক পড়ার সময়ও পাননি। সিভিল পোশাকেই সেখানে যান। কাজেই এখানে তাঁর নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে বলে কোনো রিপোর্ট আসেনি।
গত বুধবার রাজধানীর শাহীনবাগে ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান যুক্তরাষ্ট্রের দূত পিটার হাস। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠন তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান পিটার হাস।
সেদিনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করেন পিটার হাস। তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জানান যুক্তরাষ্ট্রের দূত। এই বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। আমাদের কাছে তো তথ্য দেয়নি।
এখন কীভাবে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তার (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) এখান থেকে হয়েছে কি না, আমরা জানি না। আমাদের জানার কথাও না।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওখানে (শাহীনবাগ) যাবেন, তা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো উচিত ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও জানি না।
এনসি/